মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা গুলো দেখে নিন

পনি কি দুর্বল রোগা শরীর নিয়ে চিন্তিত আছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই এই আর্টিকেলে মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা এবং মোটা হতে গেলে কি কি খাবার খেতে হবে সেই সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। মানুষের অনেক কারণ রয়েছে যেমন পরিশ্রম না করা, মানসিক অসুস্থতা ইত্যাদি এসব কারণে মানুষ মোটা হতে পারে না।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কম খাবার খেলে প্রয়োজন বেড়ে যায় আবার এমনও হয় যে বেশি খাওয়া হচ্ছে তবুও শরীরের কোন উপকার হচ্ছে না। তাই অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের কিছু মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানাবো যেগুলো মেনে চললে আপনি খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা গুলো দেখে নিন

  • ভূমিকা
  • মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা
  • মোটা হওয়ার জন্য কোন ভিটামিন খাব
  • মোটা হওয়ার জন্য কোন সিরাপ ভালো
  • ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়
  • লেখকের শেষ কথা

ভূমিকা

মোটা হওয়া অনেক কষ্ট কার কাজ বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে যাদের খাওয়ার প্রতি একদমই রুচি নাই এবং যাদের দ্রুত বিভাগ আছে তাদের ক্ষেত্রে মোটা হওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। যাই হোক মোটা হওয়ার জন্য কিছু পুষ্টিকর এবং সঠিক খাবার নির্বাচন করলে মোটা হতে তেমন একটা কঠিন কাজ বলে মনে হয় না। 

তাই আজকের এই পোস্টে আমরা সঠিক খাবার নির্বাচন অর্থাৎ মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আপনাদের বলব যেগুলো আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বেশ ভূমিকা পালন করবে। মোটা হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হল।

মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা

১. কিসমিস
আপনাদের হয়তো এটা খুবই অজানা যে মোটা হওয়ার জন্য কার্যকরী খাওয়ার হলো কিসমিস। কিসমিসে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি বাড়াতে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে প্রতিদিন নিয়ম করে রাতে এবং শোয়ার আগে একটি ক্লাসে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন 

এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খেয়ে নিন এবং পানিটাও খেয়ে নিন।নিয়মিত যদি এক মাস খান তবে দেখবেন আপনার শরীরে ওজন এবং শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।

২. খিচুড়ি
চুড়িতে বিদ্যমান কার্বোহাইড ও প্রোটিন মোটা হতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খিচুড়ি তৈরি পরিহার্য উপকার ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম অ্যামাইনো এসিড, খাদ্য আঁশ 

এবং খিচুড়ির সাথে অল্প কিছু সবজি মিশিয়ে যদি রান্না করা হয় এটি পরিপূর্ণ ব্যালেন্স খাবারে পরিপূর্ণ হয় তাই প্রতিদিন সকালে খিচুড়ি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন যা আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে বেশ উপকারী।

৩. সিদ্ধ আলু
আমরা কমবেশি সবাই জানে যে সিদ্ধ আলু ওজন বাড়াতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলোতে শতকরা অন্তকোণিজ লবণ ভিটামিন ও প্রোটিন এই খাবারটি বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আলোর রাখতেই হবে। এছাড়া আলু ভর্তা বা প্রতিদিন দুটো করে সিদ্ধ আলু খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।


৪. বিরিয়ানি
বিরিয়ানি হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। বিরিয়ানি মোটা হতে বেশ ভূমিকা পালন করে। যদিও এটি একটি বেশ খরচের ব্যাপার। তবে আপনি সময়ের সুযোগ পেলে বিরিয়ানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বিরিয়ানি খেতে পারলে। ১-২ মাস পর আপনি নিজেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। 

৫. গরুর মাংস
যেসব খাবার খেলে মোটা হওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম খাবার হচ্ছে গরুর মাংস মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ গরুর মাংসে পাওয়া যায় যা ওজন বাড়াতে বেশ ভূমিকা পালন করে। 

আমরা মোটামুটি সবাই মনে করি যে গরুর মাংস একটি ক্ষতিকর খাবার যা এড়িয়ে চলা উচিত।এড়িয়ে চলা বলতে কম মাত্রায় খাওয়া প্রয়োজন। স্বাভাবিক অনুযায়ী দুই তিন টুকরো খাওয়া যেতে পারে এটি গরুর মাংস খাওয়ার সাধারণ মাত্রা। 

৬. ডিম
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম থাকা খুবই উপকারী। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে ডিম খাওয়াটা অপরিহার্য। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে শরীরে ওজন বাড়াতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এছাড়াও ডিমের কুসুমে প্রয়োজনীয় ক্যালাড়ি আপনার শরীরে ওজন বাড়াতেই খুবই সহায়ক এবং ডিম আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তিও বাড়াতে বেশ সাহায্য করে।

৭. ঘি এবং মাখন
আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে চাইলে স্নেহ জাতীয় খাবার গুরুত্বপূর্ণ। মাখন এবং ঘি স্নেহ জাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে গ্যালারি যা আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে কিন্তু অতিরিক্ত ঘি এবং মাখন খেলে হার্টের ক্ষতি হতে পারে তাই পরিমাণ মতন খাবেন।

৮. বাদাম
মোটা হওয়ার জন্য অন্যতম খাবার হচ্ছে বাদাম। ক্যালরি, ফাইবার, প্রোটিন এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে বাদাম। এটি আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। তাই সময় করে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

৯. শাকসবজি
শাকসবজি দেহের ওজন বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শাক সবজির বিকল্প নেই তাছাড়া এটি চোখের জ্যোতি বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তাই শাকসবজি প্রতিদিন পরিহার চলবে না। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিনিয়ত শাকসবজি রাখুন।

১০. ভাত
যে সব খাবার খেলে মোটা হওয়া যায় তার ভিতর রয়েছি ভাত। ভাতে রয়েছি প্রচুর পরিমাণে কার্বন-হাইডেট সমান সংস্কৃতি কারণে আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ভাব থাকে এটি একটি ভালো দিক।তবে আপনি যদি প্রতিনিয়ত ভাতের ফ্যান খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের ওজন বাড়াতে বেশ সহায়তা করবে।

আশা করি মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা গুলো বুঝতে পেরেছেন কি কি খাবার খেলে ওজন বাড়ানো সম্ভব ওপরে এইসব খাবারগুলি আপনি যদি আপনার খাবার তালিকায় রাখেন তবে আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে কষ্ট হয়ে দাঁড়াবে না খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন।

মোটা হওয়ার জন্য কোন ভিটামিন খাব

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন মোটা হওয়ার জন্য কোন ভিটামিন খাব। ওজন বাড়াবার কমা এটা ভিটামিন ওষুধের সাথে তুলনা করা ভুল আপনার খাদ্য তালিকা কেমন সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা উক্ত আলোচনায় মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা নিয়ে আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

খাদ্য তালিকায় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকে অর্থাৎ সেন্ট ডিভিশন অথবা মাসরিনটাকে ডেভলপ করে সেই খাবারগুলো হল দুর, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম। এই খাবারগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে যদি না থাকে তাহলে আপনার কখনোই ওজন বাড়বে না এবং আপনি মোটা হবেন না। তাই আপনার খাবার তালিকায় এই খাবার গুলি যুক্ত করেন। 

এছাড়াও ভিটামিন এবং মিনারেলস তো অবশ্যই লাগবে তার জন্য আপনাকে বেশি বেশি শাক-সবজি সালাত খেতে হবে সেখান থেকে আপনি ভিটামিন এবং মিনারেলস পাবেন। তার পরে যদি আপনার ওজন না বাড়ে সে ক্ষেত্রে আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আশা করি মোটা হওয়ার জন্য কোন ভিটামিন খাব বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

মোটা হওয়ার জন্য কোন সিরাপ ভালো

আপনি যদি অনেক সহজে অর্থাৎ দ্রুত মোটা হতে চান সেক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিচের উল্লেখ করা সিরাপ অর্থাৎ ঔষধ বলি খেতে পারেন। এছাড়াও এই নিচের ওষুধ গুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যারা মোটা হওয়ার জন্য কোন সিরাপ ভালো খোঁজাখুঁজি করে থাকেন তাদের সুবিধার্থে মোটা হওয়ার জন্য ভালো ৭টি সিরাপ এর নাম নিচে দেওয়া হল।
  1. আমলকি প্লাস সিরাপ
  2. রুচিটন সিরাপ
  3. রুজিভিট সিরাপ
  4. পিউটন সিরাপ
  5. সিনকারা সিরাপ
  6. কারমিনা সিরাপ
  7. ছাপি সিরাপ
এই সিরাপ গুলি খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়

অনেকে আছেন যারা কিনা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম অনলাইন থেকে বা প্রচারের মাধ্যম থেকে থেকে হ্যান ত্যান ওষুধ কিনে খেয়ে নিজের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেন। কেউ যদি স্বাস্থ্য বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে নবী (সা.) খেজুর দিয়ে শসা খেতেন। আয়েশা রাঃ বলেন তার মা অর্থাৎ আয়েশা রাঃ মা চেয়েছেন যে আমি একটু স্বাস্থ্যবান হই কারণ বিশ্ব নবী (সা.) এর কাছে যাবেন তাই।


সেজন্য তাই আয়েশা রাঃ এর মা অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিন্তু আয়েশা রাঃ স্বাস্থ্যবান হননি। সর্বশেষ তারপর বিশ্ব নবী (সা.) আয়েশা রাঃ আম্মাজান কে খেজুর এবং শসা একসাথে খাওয়ানোর ফলে আয়েশা রাঃ আলহামদুলিল্লাহ যতটুকু দরকার ততটুকু স্বাস্থ্যবান হয়েছিলেন।

লেখকের শেষ কথা

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে এই আর্টিকেলে মোটা হওয়ার জন্য কোন সিরাপ ভালো সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং কিছু সিরাপের নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যেগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এছাড়াও আপনাদের সাথে মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি।

আমি আশা করি আপনি আর্টিকেল পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই আর্টিকেল করতে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সিফাত ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url