রাতে ঘুমানোর আগে ৫টি কিসমিস খেলে কি হয় জানুন
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে
জানাবো। কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজা বলা হয় এই কিসমিসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আঙ্গু
শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস চলুন তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস
খেলে কি হয় এবং প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করব।
আপনি যদি প্রতিনিয়ত কিসমিস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানা দরকার কারণ প্রতিটি খাবারের
খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট টাইম রয়েছে যে টাইমে খাবারগুলোতে খাবার খেলে বেশি উপকারিতা
পাওয়া যায়।
তাই রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলি আপনাদের
এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানাবো এছাড়াও প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত, কিসমিস
খেলে কি ওজন বাড়ে সকল খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব তাই এই পোস্টটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় জেনে নিন
- ভূমিকা
- রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়
- শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
- কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে
- আমাদের শেষ কথা
ভূমিকা
কিসমিস হচ্ছে শুকনো ফল যার তুলনায় এতে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কিসমিসের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বলা হয়ে থাকে। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ক্যান্সার, অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দীর্ঘ স্থায়ী রোগগুলো ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও রক্তশূন্যতা এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এছাড়াও কিসমিসের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
অনেকে আছেন কিসমিস খাবার সঠিক সময় জানেন না সেজন্য কিসমিস খেয়ে তেমন একটা উপকারিতা পান না আপনারা কি জানেন রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়? রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে তা জানতে হলে এই আর্টিকালটি পড়তে থাকুন।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
যাদের রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না এবং এসিডিটি সমস্যা রয়েছে তাদের কিসমিস খাওয়া খুবই
উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে শরীরে মেলাটরিন টিপ্রোফ্যান এবং
ফলেলের পরিমাণ বাড়ায় যা ঘুমানোর গুণমান উন্নত করে এবং
স্বাস্থ্যের ওজন বাড়িয়ে তোলে যারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে ব্যথা
অনুভব করেন তাদের ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারী।
চলুন
তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে আর কি কি হতে পারে সম্পূর্ণটা জেনে
নেওয়া যাক। এছাড়াও কিসমিস অন্ত্রের আন্দোলন সহজ করতে সাহায্য করে। এগুলি কেবল
অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় মলের স্বাস্থ্যের জন্যও
উপকারী এটি শরীর থেকে ময়লা এবং বর্জ্য অপসারণ করতে সাহায্য
করে তাছাড়া হাড় সুস্থ রাখে।
কিসমিস খাওয়া হাড়ের জন্য খুবই
উপকারী। এছাড়াও এই কিসমিস যদি আপনি দুধের সাথে সিদ্ধ করে খান তাহলে শরীরে
পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে এর সাথে এটি ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য
হাড়ের ঘনত্ব বদ্ধ খনিজ গুলোকে প্রচার করে এবং হাড়কে শক্তিশালী
করে তাছাড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কিসমিস খুবই উপকারী একটি শুকনো ফল যা একটু খেলেই পেট ভরে যায়। রাতে খাবারের
পর যদি ৫টি কিসমিস খান তবে শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করে। এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঘুমের
জন্য খুবই প্রয়োজন।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বাত এবং অ্যালজাইমা দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলো থেকে
রক্ষা করতে সাহায্য করে তাই প্রতিনিয়ত রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া
অভ্যাস করুন।
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়? মিষ্টি খাবারের স্বাদ বাড়াতে কিন্তু আমরা কিসমিস ব্যবহার করে থাকি এছাড়াও এটি পোলাও খোরমাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে শুধুমাত্র সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই নয় এটিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। চলুন তাহলে প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে ফলে এটি আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিসমিস দেখতে ছোট হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, মিনারেল, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এছাড়াও কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা আমাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং কিসমিসে ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী।
এবং প্রতিদিন কিসমিস খেলে ওজন বাড়ি তাই যারা শরীরের ওজন বাড়াতে চান তারা প্রতিদিন কিসমিস খান কারণ কিসমিসে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ রয়েছে যা শরীরে দ্রুত এনার্জি দিতে সাহায্য করে। যেসব বাচ্চারা চকলেট খেয়ে দাঁতের মাড়ি এবং দাঁত নষ্ট করে ফেলে তাই বাচ্চাদেরকে যদি প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করা হয় তাহলে দৈনন্দিন মিনারেলস এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে।
শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়
গবেষণায় দেখা গেছে শুকনো কিসমিস খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করা মাত্রা
কমিয়ানে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
যা আপনার এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমায় এবং আপনার হার্টের চাপ
কমায়।
এছাড়াও কিসমিস পটাশিয়ামের জন্য একটি ভাল উৎস গবেষণায় দেখা গেছে
শরীরে কম পটাশিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের এর ঝুঁকি
বাড়ায় তাই আপনার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করতে হলে প্রতিদিন শুকনো
কিসমিস খেতে পারেন এছাড়াও ওজন বাড়াতে কিসমিস বিশেষ ভূমিকা
রাখে। এছাড়াও শুকনো কিসমিস ক্যান্সারের ঝুঁকি কামাই।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
কিসমিসে রয়েছে পটাশিয়াম, প্রোটিন, আইরন, কপার এবং ভিটামিন বি-৬ ইত্যাদি পুষ্টি
উপাদান রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতে কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি
পেটে এটি খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় তবে খেতে হবে পরিমাণ মতো
পুষ্টিবিদ্যার মতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যায়।
কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে
সবার জন্য কিসমিস ভীষণ উপকারী এই কিসমিস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে তাই যারা
ওজন বাড়াতে চান তাদের বেশি করে ক্যালরি গ্রহণ করতে
হবে। কিসমিসে এ ক্যালোরি পরিমাণ বেশি প্রায় ১০০ গ্রাম কিসমিসে
২৯৯ ক্যালোরি রয়েছে যা আপনার শরীরে দৈনিক ক্যালোরির চাহিদা পূরণ
করে।
কিসমিস ওজন বৃদ্ধির ক্ষমতা রাখে তাই ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি
বিভিন্ন উপায়ে কিসমিস খেতে পারেন।আপনি চাইলে পোলাও, পায়েস এবং
এমনিও কিসমিস খেতে পারেন। আপনি যদি কিসমিস এর সবকিছু পুষ্টি উপাদান
পেতে চান তাহলে রাতে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন পরের
দিন সকালে খেয়ে ফেলুন।
আমাদের শেষ কথা
কিসমিস খাওয়ার সময় অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেমন প্রতিদিন পরিমাণ মতন
কিসমিস খাবেন আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি আগেই প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
আশা করি জানতে পেরেছেন তাই কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাবেন না অতিরিক্ত
কিসমিস খেলে বদহজম সহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই পরিবার মতন কিসমিস
খান।
এবং কিসমিসের সকল পুষ্টিগুণ পেতে হলে এক কাপ দুধের সঙ্গে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে
সকালে খেতে পারেন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে চার-পাঁচটা কিসমিস খেতে পারেন ফলে বেশি উপকারী পাওয়া
যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এবং
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানিয়েছি।
আশা করি আপনি সবকিছু
মনোযোগ সহকারী পড়েছেন এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অন্যদের সাথে শেয়ার
করে দিবেন এবং এই সকল বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত চোখ
রাখতে পারেন। এবং আপনার যদি কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে
আমাদেরকে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।
সিফাত ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url