ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি, খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
আজকের এই আর্টিকেলে ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি, খাওয়ার নিয়ম এবং uromax 0.4 এর কাজ কি সে সম্পর্কে আলোচনা করব। অনেকেই আছেন যারা ইউরোম্যাক্স ডি কিসের ওষুধ অর্থাৎ কি কাজ করে সেটা জানেন না। আবার অনেকে ইউরোম্যাক্স ডি ও uromax 0.4 এই দুটো ওষুধের নাম একই দেখে একটি ওষুধ মনে করেন কিন্তু দুটি ভিন্ন ওষুধ তাই ওষুধ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি এবং uromax d খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে পোস্টটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলে ইউরোম্যাক্স সম্পর্কিত সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে ইউরোম্যাক্স ডি এবং uromax 0.4 এর কাজ কি সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি, খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
- ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি
- uromax d খাওয়ার নিয়ম
- uromax d এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- uromax d কিসের ঔষধ
- uromax 0.4 এর কাজ কি
- ইউরোম্যাক্স কতদিন খেতে হবে
- ইউরোম্যাক্স ডি এর দাম কত
- লেখকের শেষ কথা
ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি
ইউরোম্যাক্স ডি তে রয়েছে ট্যামসুলোসিন
হাইড্রোক্লোরাইড এবং ডুটাস্টেরাইড যা আমাদের প্রোস্টেট
গ্রন্থির সমস্যা পুরুষদের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে এই ওষুধটি মূলত
মহিলাদের এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করা হয় না।
এটি
পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থী সমস্যা যেমন প্রসব করতে অসুবিধা, ঘন ঘন
প্রসাব হওয়া, প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা, প্রসাবের রং হলুদ হওয়া এবং
বারবার টয়লেটে যাওয়া এসব সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। অনেকেরই ধারণা যে
ইউরোম্যাক্স ডি ট্যাবলেটটি প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যবহার হয়
কিন্তু এটা ভুল কথা এই ওষুধটি কোন ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয় না।
এই ইউরোম্যাক্স ডি ওষুধটি দুটি মিশ্রণ দিয়ে ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে
যার ভিতর রয়েছে ডুটাস্টেরাইড এবং ট্যামসুলোসিন। ট্যামসুলোসিন আপনার
মুত্রথলি এবং প্রোস্টেটের বেশি শীতল রাখে এবং ডুটাস্টেরাইড আপনার
প্রোস্টেটের আকার ছোট করে।
এবং এটি হরমোন সৃষ্টিতে বাধা দেয় একই সাথে
আপনার দ্রুত প্রসবের সমস্যা গুলি সমাধান করে একই সাথে ঘনঘন প্রসাব দূর
করে এই ওষুধটি মূলত সঠিকভাবে কাজ করতে ৩ থেকে ৬ মাস লাগে। আশা করি
ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি সেগুলো জানতে পেরেছেন।
uromax d খাওয়ার নিয়ম
এই ওষুধটি মূলত আপনার শরীরের উপর নির্ভর করে ডাক্তারেরা ওষুধের ডোজ দিয়ে থাকে এই
ওষুধটি ভেঙে বা গুরু করে খাওয়া যাবেনা। এই ওষুধটি চিবিয়ে অথবা চুষে খাওয়া যাবেনা এটি এক গ্লাসে পানি নিয়ে মুখে
ওষুধটি দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে হবে। এই ওষুধটি খাওয়া-দাওয়ার পর অন্তত ১০
থেকে ১৫ মিনিট পর খেতে হবে।
এবং এই ওষুধটি একটি নির্দিষ্ট টাইমে খেলে সবচেয়ে
ভালো হয় যেমন রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর এবং কখনো ওষুধটি খাবার ডোজ মিস দিবেন
না। এবং আমি বলব আপনি এই ওষুধটি খাওয়ার আগে একজন সার্টিফাইড ডাক্তার এর পরামর্শ
নিয়ে ওষুধটি খান।
uromax d এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
uromax d খাওয়ার পর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোড়া, বমি বমি ভাব, হাত পা ঝিমঝিম করা ইত্যাদি। তবে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। ইউরোম্যাক্স ডি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- মাথা ঘোরা
- রক্তচাপ কমে যাওয়া
- বীর্যের শুক্রাণু কমে যাওয়া
- অন্ডকোষে ব্যথা হতে পারে
- শরীর দুর্বল
- বমি বমি ভাব
- স্তন কোমলতা ও বৃদ্ধি
- হাত-পা ঝিমঝিম করা
এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় না তবে আপনার যদি
বেশি জটিলতা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে ওষুধটি খাওয়া বন্ধ করে একজনের ডাক্তারের সাথে
পরামর্শ নেওয়া উচিত।
uromax d কিসের ঔষধ
ওপরের উক্ত আলোচনা ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি সে সম্পর্কে আপনাদের আগেই
জানিয়ে দিয়েছি আশা করি আপনি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন যদি না বুঝে থাকেন আর একবার
আমি সংক্ষেপে জানিয়ে দিচ্ছি uromax d কিসের ঔষধ এবং কেন ব্যবহার করা হয় সে
সম্পর্কে।
এই ওষুধটি শুধুমাত্র পুরুষদের প্রোস্টেট জনিত
সমস্যা, ঘন ঘন প্রস্রাব, হলুদ রঙের প্রসাব হওয়া, প্রসাবে
জ্বালাপোড়া, প্রসাবে ইনফেকশন হওয়া এবং পুরুষদের সৌম্য
প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়া লক্ষণ গুলোর চিকিৎসা করা হয়।
uromax 0.4 এর কাজ কি
uromax 0.4 হলো এক ধরনের ক্যাপসুল যা সৌম্য প্রোস্ট্যাটিক
হাইপারপ্লাসিয়া এবং আলফা-অ্যাড্রেনার্জিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা
হয়। uromax 0.4 তে ৪.০ মিলিগ্রাম হাইড্রোক্লোরাইড
ইউএসপি রয়েছে যা প্রস্রাব করতে অসুবিধা, প্রসাবে
জ্বালাপোড়া, প্রসাবের রং হলুদ হলে
এছাড়াও প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করতে অনেক
সহায়তা করে। এই ওষুধটি মূলত শুধুমাত্র পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা
হয় এবং এই ওষুধটি খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
ইউরোম্যাক্স কতদিন খেতে হবে
এই ওষুধটি সাধারণত দিনে ১ বার করে এবং কতদিন খেতে হবে সেটা মূলত রোগীর ওপর নির্ভর করে ডাক্তারেরা ডোজ দিয়ে থাকে কারণ একেক রোগীর ক্ষেত্রে একেক রকম ডোজ হয়ে থাকে তাই এই ওষুধটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কেননা এই ওষুধটি দিনে কতবার খাওয়া লাগবে এবং কতদিন খেতে হবে সেটা একমাত্র ডাক্তারি ভালো বলতে পারে।
ইউরোম্যাক্স ডি এর দাম কত
ইউরোম্যাক্স ডি প্রতি পাতার মূল্য ৪০ টাকা করে এবং প্রতিটা পিচের
মূল্য ১০ টাকা করে যে কোন ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। এই ওষুধটি প্রতিটা
পাতাতে চারটি করে ট্যাবলেট থাকে অর্থাৎ চারটি ট্যাবলেট এর মূল্য ৪০ টাকা।
লেখকের শেষ কথা
আপনার যদি প্রোস্টেট , ঘন ঘন প্রসাব, প্রসাবে জ্বালাপোড়া
হওয়া এবং প্রসাবের রং হলুদ হওয়া এসব সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে একজনের
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন।আজকের আর্টিকেলে
আপনাদের সাথে ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি এবং খাওয়ার নিয়ম, এর
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এছাড়াও uromax 0.4 এর কাজ কি সে সম্পর্কে আলোচনা
করেছি।
আশা করি আপনি পোস্টটি করেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন আমাদের এই পোস্টটি
যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে অন্যরাও জানতে
পারে। আপনার যদি ইউরোম্যাক্স ডি সংক্রান্ত আর কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে নিচে
কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
সিফাত ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url