ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে বিস্তারিত জেনে নিন
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে সেই সম্পর্কে জানব
এর পাশাপাশি পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলা হয় সেটাও জানব। অনেকেই জানতে চেয়ে
থাকেন ইউরোপের কোন দেশকে রুটির ঝুড়ি বলা হয় তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার
জন্য।
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে এবং পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলা হয় এই
সকল সম্পর্কে অজানা তথ্য জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন কেননা ইউরোপের কোন দেশকে রুটির ঝুড়ি বলা হয় এবং পৃথিবীর
কোন দেশকে রুটির ঝুড়ি বলা হয় আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার
জন্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে বিস্তারিত জেনে নিন
- কোন দেশকে ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয়
- ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে
- এশিয়ার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে - এশিয়ার রুটির ঝুড়ি কাকে বলে
- আফ্রিকার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে
- পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলা হয়
- পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন অঞ্চলকে এবং কেন
- বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কাকে
- ইউরোপের ককপিট বলা হয় কোন দেশকে
- আমাদের শেষ কথা
কোন দেশকে ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয়
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় ইউক্রেন নামক দেশকে। এই ইউক্রেন
দেশটি ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। ইউরোপের আয়তনের মধ্যে রাশিয়ার
পরেই ইউক্রেন সবচেয়ে বড় বৃহত্তম দেশ। এই ইউক্রেন দেশটিতে
প্রচুর পরিমাণে গম উৎপাদন হয়।
যার কারণে ইউক্রেনকে ইউরোপের
রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। ইউক্রেনের তুলনায় রাশিয়া প্রায় ২৮
গুন বড় কিন্তু ইউক্রেন দেশটি ছোট হলেও এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
মুগ্ধ ভরা এই দেশটি থেকে প্রচুর পরিমাণে গম উৎপাদন করে সারা
বিশ্বে রপ্তানি করে।
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন ইউরোপের কোন দেশকে রুটির ঝুড়ি বলা হয়
এবং রুটির ঝুড়ি কেন বলা হয়ে থাকে। ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয়
ইউক্রেন দেশকে এই রুটির ঝুড়ি বলার কারণ এই ইউক্রেনে দেশটি ইউরোপের
দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ এই দেশটির আয়তন প্রায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬২৮
বর্গ কিলোমিটার এই দেশটির রাজধানী হচ্ছে কিয়েভ।
সব সময় কৃষি পণ্যের জন্য বিখ্যাত ইউক্রেনে রয়েছে ৪ কোটি ২০ লক্ষ
হেক্টর জমি যা পুরো ইউরোপের ২০ শতাংশ এই বিশাল উর্বর ভূমি
ইউক্রেনের অর্থনীতির মূল জালিকা শক্তি। ইউক্রেন পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম
খাদ্যশস্য রপ্তানি দেশ। একসময় ইউক্রেন কে বলা হতো রাশিয়ার রুটির
ঝুড়ি এর কারণ ইউক্রেন উর্বর ভূমিত জন্মানো প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য এবং
খনিজ সম্পাদক সমৃদ্ধ।
এরপরেও এদেশের অর্থনীতি অন্যান্য ইউরোপের দেশের মতো শক্তিশালী নয়। অথচ
সোফিয়ত ইউনিয়ন থাকাকালীন সোফিয়ত অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে দ্বিতীয়
বৃহত্তম অর্থনৈতিক ছিল ইউক্রেনের। সোফিয়ত ইউনিয়ন বিলপ্ত হওয়ার পরে
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে।
ইউক্রেনের মাথাপিছু আয় অন্যান্য ইউরোপের দেশে তুলনায় সবচেয়ে কম এর জন্য
ইউক্রেনকে বলা হয় ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ। দরিদ্র
হলেও ইউক্রেনরা বন্ধুসুলভ ও অতিথি পরায়ণ। ইউক্রেনি সংবিধান
লেখা হয়েছিল।
১৭১০ সালে যা পৃথিবী অন্যতম প্রাচীন সংবিধান শুধু তাই নয় ১৯৭৬
সালে প্রতিষ্ঠিত অস্ত্র একাডামী পশ্চিম ইউরোপে সবচেয়ে প্রাচীন
বিশ্ববিদ্যালয় এই দেশে ৭টি এলাকাকে ইউনেসকো হোয়াট হেড সাইড ঘোষণা করেছে। ধর্মীয় স্থাপনার পাশাপাশি নানা রকম প্রাচীন ইত্থাপত্য ইউক্রেনের অন্যতম
আকর্ষণ।
ইউক্রেন বিখ্যাত পৃথিবীর বৃহত্তম বিমান তৈরীর জন্য যে বিমানের
নাম হচ্ছে রাইহা যার অর্থ স্বপ্ন মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এটি
তৈরি করা হয়েছিল তবে বর্তমানে এটি পণ্য পরিবহন কাজে ব্যবহার করা
হয়। নিঃসন্দেহে ইউক্রেনের মানুষ ৪ কোটিরও বেশি তবে ইউক্রেনেড
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার খুবই কম কারণ এদেশের মানুষ জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট
উপার্জন করতে পারে না বলে তারা সন্তান নিতে অনাগ্রহী।
এশিয়ার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে
প্রথমে আমরা জানলাম ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে এখন
আমরা জানবো এশিয়ার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে এটা মূলত অনেকেই জানতে
চেয়ে থাকেন। আপনার যদি একটু লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন যে প্রতিটা দেশের
প্রতিটা অঞ্চলেই এক একটি রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে আপনাদের
সাথে এশিয়ার মধ্যে এমন কয়েকটি দেশ এর নাম উল্লেখ
করবো যেগুলিকে রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে যেমন
- কম্বোডিয়া
- মালয়েশিয়া
- ফিলিপাইন
- চিন
- ভারত
- পাকিস্তান
- ইন্দোনেশিয়া
উপরের উল্লেখিত যে দেশগুলি দেখতে পাচ্ছেন এই দেশগুলিতে মূলত প্রচুর পরিমাণে
গম উৎপাদন হয় যার কারণে এই দেশগুলোকে বলা হয়ে থাকে এশিয়ার রুটির
ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে।
আফ্রিকার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে
আফ্রিকার রুটির ঝুড়ি বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা দেশকে কেননা দক্ষিণ আফ্রিকায়
সূর্যমুখী, গম এবং ভুট্টা ক্ষেতের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায়শই আফ্রিকার
রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার
ওভারবাগ অঞ্চলটি রুটির ঝুড়ি হিসাবে পরিচিত কারণ ওই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে
গমের খেত এবং ফসল ফলানো হয়।
জিম্বাবুয় আগে রোডশিয়া নামে পরিচিত ছিল এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ
আফ্রিকার রুটির ঝুড়ি হিসাবে পরিচিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা তামাক, গম এবং
ভুট্টা ইত্যাদি ফসল উৎপাদন করে অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলিতে রপ্তানি করতো সেই
কারণেই আফ্রিকার রুটির ঝুড়ি বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা দেশকে।
পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলা হয়
অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলা হয়? প্রেইরি
অঞ্চলকে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়। প্রেইরি অঞ্চলটি উত্তর
আমেরিকার মহাদেশের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বিশাল আয়তনের এ অঞ্চলটি
সরকারি বা বেসরকারিভাবে ২.৫ মিলিয়ন একর জমি রয়েছে
এছাড়াও ৫ লক্ষ্য
একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় প্রেইরি অঞ্চলে ৩
লক্ষ ৭৫ হাজার একর জমি রয়েছে বিশাল আয়তনের এই
প্রেইরি অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শস্য, ভুট্টা এবং গম উৎপাদন করা হয়
এবং বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয় যার ফলে প্রেইরিকে পৃথিবীর রুটির
ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে।
পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন অঞ্চলকে এবং কেন
পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয় প্রেইরি অঞ্চলকে কারণ প্রেইরি
অঞ্চলে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার একর জমি রয়েছে। বিশাল আয়তনের এই
প্রেইরি অঞ্চলের পৃথিবীর বিস্তৃত তৃণভূমি নামে পরিচিত বিশাল আয়তনের এই
উর্বর তৃণভূমি এখানকার জলবায়ু বিচিত্র ধরনের শীতকালে খানিকটা শীত শীত এবং
গ্রীষ্মকালে অল্প গরম থাকে।
এছাড়াও গরম কালে বেশি বৃষ্টিপাত হয় যার কারণে
মাটিকে আরো উর্বর করে শস্য, ভুট্টা এবং গম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত
এছাড়াও এই প্রেইরি অঞ্চলে গরু, মহিষ, ঘোড়া ইত্যাদি প্রাণীর
আবাসস্থল।প্রাকৃতিক গঠন ভূবৈচিত্র্যতা উর্বর ভূমি আবহাওয়া প্রচুর
পরিমাণে গম জন্মে এর জন্য প্রেইরি অঞ্চলকে পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলা হয়।
বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কাকে
আবার অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কাকে অর্থাৎ
কোন অঞ্চলকে? বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার এ ঠাকুরগাঁও অঞ্চলকে
রুটির ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে
সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয় যার কারণে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলকে বাংলাদেশের রুটির
ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে।
ইউরোপের ককপিট বলা হয় কোন দেশকে
ইউরোপের ককপিট বলা হয় বেলজিয়ামকে। ককপিট বলতে বোঝায় যেখানে
ককেরা লড়াই করে অর্থাৎ মোরগ যেখানে লড়াই করে সেই জায়গাতে। বেলজিয়াম
হচ্ছে ইউরোপের ওয়াটার লুর সেখানে অনেক যুদ্ধ হয়েছে তাই বেলজিয়ামকে
ইউরোপের ককপিট বলা হয়ে থাকে।
এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি যোগাযোগের দেশ হিসাবে এবং ইতিহাসের কারণে বেলজিয়ামকে ইউরোপের ক্রসরোডস বলা হয়ে থাকে কেননা বেলজিয়ামের মাটিতে প্রচুর সেনাবাহিনী লড়াই করেছেন যার কারণে ইউরোপের যুদ্ধক্ষেত্র বা ইউরোপের ককপিট বলা হয়ে থাকে।
আমাদের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে এবং
পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি কাকে বলা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এর
পাশাপাশি এশিয়ার এবং আফ্রিকার রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন দেশকে সেই
সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে
গেছেন।
আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যান্য প্লাটফর্মে
শেয়ার করে দিন কেননা অন্যরাও যাতে জানতে পারে এ সকল অজানা তথ্য এবং এরকম অজানা
বিভিন্ন রকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত চোখ রাখতে পারেন আমাদের
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সিফাত ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url